পদ্মফুল এর উত্তরীয় গলায় নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি প্রবীর ঘোষাল

2nd February 2021 8:20 pm হুগলী
পদ্মফুল এর উত্তরীয় গলায় নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি প্রবীর ঘোষাল


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : সদ্য তৃনমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপি দলে যোগদান করার পর প্রবীর ঘোষাল এলেন শ্রীরামপুর সাংগঠনিক কার্ষালয়ে। জেলা বিজেপি তরফে উত্তরীয় পরিয়ে ও পুষ্পস্তবক দিয়ে সংবর্ধনা দেন শ্রীরামপুর বিজেপি সাংগঠনিক সভাপতি শ্যামল বসু। উপস্থিত ছিল জেলার উত্তরপাড়া বিধানসভা ও শ্রীরামপুর বিধানসভার বিজেপি কার্ষকর্তারা।  এদিন আগাগোড়া খুশিতে ছিলেন প্রবীর ঘোষাল। আপ্লুত প্রবীর ঘোষাল বলেন, লড়াই জীবনের অঙ্গ, একজন কর্মী হিসাবে বিজেপি দল যে দায়িত্ব দেবে তা আমি পালন করবো। বিধায়ক পদ ছেড়ে দেওয়া প্রসঙ্গে বলেন, শুধুমাত্র বিধানসভা এলাকায় সাধারণ মানুষের জন্য যে বাকী কাজ রয়েছে তা শেষ করা। এখনই বিধায়ক পদ ছেড়ে দিতে পারলে বেঁচে যাই। এদিন হিন্দমোটর এলাকায় বিজেপি নামে লেখা প্রবীর ঘোষালের নামে পোস্টার প্রসঙ্গে বলেন, এটা বিজেপি দলের কাজ নয়। যাঁরা আমার মুখে কালি লাগাচ্ছে, তারাই এই কাজ করছে। এতে আমার আরো সুবিধা হচ্ছে। জনগন এর উত্তর দেবে ভোট বাক্সে। পাশাপাশি শ্রীরামপুর জেলা বিজেপি সাংগঠনিক সভাপতি শ্যামল বসু বলেন, এই ধরনের কুরুচিকর পোস্টার বিজেপি দলের কর্মীরা দেয় না। তৃনমূলের দুস্কৃতিরা প্রবীর ঘোষালের নাম লিখে পোস্টার দিয়েছে।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।